অপি করিম (জন্ম:
মে ১, ১৯৭৯)
একজন বাংলাদেশি মডেল
এবং অভিনেত্রী। তিনি ১৯৯৯
সালে লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায়,মিস
ফটোজেনিক খেতাব অর্জন
করেন।
তিনি বাংলা টেলিভিশন নাটকে
এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়
করেছেন।
নাটক, টেলিফিল্ম, উপস্থাপনা, সিনেমা,
মঞ্চ, বিজ্ঞাপন, নাচ
আবার পড়াশোনা- সব
ক্ষেত্রেই তার দ্যুতি
ছড়ানো প্রতিভা।
প্রাথমিক
জীবন
অপি
করিমের পুরো নাম
তুহিন আরা অপি
করিম। তিনি ১৯৭৯
সালের ১লা মে
জন্মগ্রহণ করেন। অপি
করিম সর্বপ্রথম শিশু
শিল্পী হিসেবে বিখ্যাত ধারাবাহিক “সকাল
সন্ধ্যায়” অভিনয় করেন।
এই ধারাবাহিকে তার
চরিত্রের নাম ছিল
পারুল। এরপর তিনি
অনেকদিন অভিনয়ের বাইরে
ছিলেন। এরপর তিনি
“আনন্দধারা” ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে মডেল
হিসেবে ফিরে আসেন।
এই আনন্দধারা ম্যাগাজিনের মাধ্যমেই ১৯৯৯
সালে অপি করিম
মিস ফটোজেনিক পুরষ্কারে ভূষিত
হন।
শুধুমাত্র ছোটপর্দায় নয়,
পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ছিলেন
সমান পারদর্শী। ছোট
বেলা থেকেই ভাল
ছাত্রী অপি ভর্তি
হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে
তিনি জার্মানিতে যান
উচ্চশিক্ষা গ্রহণে।
২০০০
সালে হন লাক্সের মডেল।
একই সাথে তিনি
মঞ্চ দর্শকদের মাঝেও
অপি সমানভাবে আলোচিত
হন 'রক্তকরবী' নাটকে
তার করা নন্দিনী চরিত্রটির জন্য।
পরবর্তীতে ব্যাচেলর চলচ্চিত্রে অভিনয়
করে আলোচিত হয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি
নাচও করেন। ধারাবাহিক ও
খন্ড নাটকের পাশাপাশি “ব্যাচেলর” ছবিতে
অভিনয়ের মাধ্যমে অপি
করিম ব্যাপক দর্শক
জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও অপি
করিম মডেল হিসেবে
অভিনয় করেন।
কর্মজীবন
আড়াই
বছর বয়সে জনপ্রিয় টিভি
নাটক 'সকাল-সন্ধ্যা'র
পারুলী চরিত্রটিতে অভিনয়
করেন। এরপর অভিনয়
করেন 'শুকতারা' ও
'আপনজন'-এর মতো
বিটিভির জনপ্রিয় দুটি
ধারাবাহিকে। মাঝে কিছুটা
বিরতির পর ছোটপর্দায় অপির
পুনঃআগমন ঘটে '৯৭
সালে হোয়াইট প্লাসের বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল
হওয়ার মাধ্যমে। টিভি
মিডিয়ায় তার প্রথম
কাজ ছিল 'কলকাকলী' নামের
একটি অনুষ্ঠানে। ১৯৯৯
সালে টেলিফিল্ম 'তেপান্তরের রূপকথা'-তে অভিনয়ের মধ্য
দিয়ে যাত্রা শুরু
করেন অভিনয়ের মূলধারায়। আর
২০০০ সালে হন
লাক্সের মডেল তারকা।
একই সাথে তিনি
মঞ্চদর্শকদের মাঝেও অপি
সমানভাবে আলোচিত হন
'রক্তকরবী' নাটকে তার
করা নন্দিনী চরিত্রটির জন্য।
অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর
আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষক।
এক নজরে অপি করিম
জন্ম : মে
১,
১৯৭৯ ঢাকা, বাংলাদেশ
বাসস্থান :
ঢাকা
জাতীয়তা : বাংলাদেশী
নাগরিকত্ব : বাংলাদেশ
শিক্ষা :
স্নাতকোত্তর
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : বুয়েট
পেশা : মডেল-অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী
কার্যকাল : ১৯৯৭–বর্তমান
উল্লেখযোগ্য কাজ: নিচে দেখুন
প্রভাবিত হয়েছেন: সুচিত্রা সেন
আদি শহর :
ফরিদপুর, বাংলাদেশ
দম্পতি : আশির আহমেদ (২০০৭-২০০৭)
মাসুদ
হাসান উজ্জ্বল
(২০১১-২০১১)
ব্যক্তিগত জীবন
২০১১ সালের
২ সেপ্টেম্বর
অপি করিম
বিয়ে করেন
এই সময়ের
আলোচিত নির্মাতা
মাসুদ হাসান
উজ্জলকে। নির্মাতা
মাসুদ হাসান
উজ্জ্বলের এটি প্রথম বিয়ে হলেও
অপি করিমের
এটি দ্বিতীয়
বিয়ে। এর
আগে ২০০৭
সালের ২৭
অক্টোবর সম্পূর্ণ
পারিবারিক পছন্দে অপি করিমের বিয়ে
হয়েছিল জাপান
প্রবাসী ড.
আসির আহমেদের
সঙ্গে। তিনি
জাপানের কিউসু
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব
কম্পিউটর সায়েন্স
এন্ড কমিউনিকেশন
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর।
বিয়ের একবছর
পরই তাদের
মধ্যে দূরত্ব
তৈরি হয়।
নভেম্বরে তাদের
ডিভোর্স হয়ে
যায়।
চলচ্চিত্র তালিকা
চলচ্চিত্র
|
|||
বছর
|
চলচ্চিত্র
|
চরিত্র
|
|
২০০৪
|
ব্যাচেলর
|
সাথী
|
টেলিভিশন
শিরোনাম
|
চরিত্র
|
|
শুকতারা
|
||
আপনজন
|
||
উত্তম কুমার
সুচিত্রা সেন
|
||
মান-অভিমান
|
||
সকাল-সন্ধ্যা
|
পারুলী
|
|
সবুজগ্রাম
|
||
তিতির সুখ
|
||
অক্ষয় কোম্পানির
জুতো
|
||
ছায়াচোখ
|
||
জলছাপ
|
||
সাদাআলো সাদাকালো
|
||
ছায়াফেরী
|
||
যে জীবন
ফড়িংয়ের
|
||
থতমত এই
শহরে
|
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
বছর
|
পুরস্কার
|
বিভাগ
|
চলচ্চিত্র
|
ফলাফল
|
২০০৪
|
জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কার
|
শ্রেষ্ঠ
অভিনেত্রী
|
ব্যাচেলর
|
বিজয়ী
|
0 comments:
Post a Comment