গ্রেটা
লভিসা গুস্তাফসন ; জন্ম:
১৮
সেপ্টেম্বর, ১৯০৫
- মৃত্যু:
১৫
এপ্রিল, ১৯৯০)
স্টকহোমে
জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত সুইডীয়-আমেরিকান অভিনেত্রী ছিলেন। হলিউডের নির্বাক ও ধ্রুপদী সময়কালের
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রতারকা ছিলেন গ্রেটা গার্বো।
প্রাথমিক জীবন |
গ্রেটা গার্বো |
জন্ম
|
গ্রেট
লভিসা গুস্তাফসন
১৮ সেপ্টেম্বর ১৯০৫ স্টকহোম, সুইডেন |
মৃত্যু
|
১৫ এপ্রিল ১৯৯০ (৮৪ বছর)
নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
সমাধি
|
স্কোজস্কির্কোগার্ডেন সিমেট্রি,
স্টকহোম, সুইডেন |
পেশা
|
অভিনেত্রী
|
কার্যকাল
|
১৯২০-১৯৪১
|
পিতা-মাতা(গণ)
|
আনা লভিসা
কার্ল আলফ্রেড গুস্তাফসন |
কর্মজীবন |
গ্রেটা গুস্তাফসনের কন্যা গ্রেটা গার্বো নিজ
শহরেই রয়্যাল স্কুল অব ড্রামাটিক
আর্টে
অধ্যয়ণ করেন। সেখানেই তিনি ফ্যাশন মডেল হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৪ সালে মরিৎজ স্টিলার তাঁকে নির্বাক
চলচ্চিত্র দি অ্যাটনম্যান্ট অব গোস্তা
বার্লিংয়ে অভিনয় করেন। এর পরপরই তিনি সুইডেনে বিখ্যাত চিত্র তারকায় পরিণত হন।
অল্প
কিছুদিন পরই তিনি লুইস বি. মেয়ারের নজরে পড়েন ও ১৯২৫ সালে হলিউডে চলে যান। ১৯২৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্বাক
চলচ্চিত্র টরেন্টে অংশগ্রহণ করেন। এর পরের
বছরই নিজস্ব তৃতীয় ফ্লেশ এন্ড দ্য ডেভিল চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয়
চিত্রতারকাদের একজনরূপে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো
হচ্ছে - মাতা হারি (১৯৩২), কুইন
ক্রিস্টিনা (১৯৩৩), ক্যামিলি
(১৯৩৬) ও নিনোচকা (১৯৪১)।
অবসর |
১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট
গার্বোকে সর্বকালের সেরা মহিলা চলচ্চিত্র তারকাদের তালিকায় ক্যাথেরিন হেপবার্ন, বেটি ডেভিস, অড্রে হেপবার্ন ও ইনগ্রিড বার্গম্যানের পরে রাখে।
১৯৪১
সালে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরে রাখেন। এরপর তিনি একাকী জীবন অতিবাহিত করেন ও নির্জনতা অবলম্বন
করেন। ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫১
তারিখে মার্কিন
নাগরিকত্ব লাভ করেন। ১৯৮৪
সালে স্তনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মৃত্যু
পূর্ব-পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থান করেন। কিডনির প্রদাহ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর
দেহাবসান ঘটে। তাঁর দেহভষ্ম সুইডেনে সমাহিত
করা হয়। ব্যক্তিগত
জীবনে তিনি বিয়ে করেননি ও সন্তানাদিও ছিল না। তিনি চিত্র সংগ্রাহক ছিলেন যা তাঁর মৃত্যুর পর
মিলিয়ন ডলারেরও অধিক মূল্যবান ছিল।
0 comments:
Post a Comment